bmbs17member@gmail.com +88 01711-522911

বেগমবাজার-মৌলভীবাজার বণিক সমিতি

বাংলাদেশ গভঃ রেজিঃ নং-ঢাকা ৩০০৫
৭১ বেগমবাজার, ৪র্থ তলা, ঢাকা-১২১১ |

সমিতির পরিচিতি

বেগমবাজার-মৌলভীবাজার বণিক সমিতি একটি ঢাকার স্বনামধন্য ব্যবসায়ী সংগঠণ। এই সংগঠনটি ১৯৮৮ সালে আলহাজ দীন মোহাম্মদ সাহেব সহ তৎকালীন বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাথমিকভাবে ছোট পরিসনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ্ব দীন মোহাম্মদ সাহেবকে নিয়ো মরহুম হাজী মোঃ সবদর আলী সাহেবকে সিনিঃ সহ-সভাপতি মরহুম মোঃ ফিরোজ আলম সাহেবকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৯ সদস্য বিশিষ্ট বেগম বাজার সিগারেট ও সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতি গঠন করা হয়। তখন সমিতির অফিস ছিল ৬৯ বেগম বাজার ভবনের ৪র্থ তলায়। তৎকালীন সময়ে বেগমবাজার এলাকার প্রধান ব্যবসা ছিল তামাক এবং সিগারেট। তাই সমিতির সিংহ ভাগ সদস্য ছিল তামাক ও সিগারেট ব্যবসায়ী। তখন সমিতির সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় ২৫০ জন। ৪ মার্চ ১৯৯০ সালে সমিতিটি ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য ভুক্ত হয়। ১৯৯০- সালের পর হতে তামাক ও সিগারেট ব্যবসা আশানুরুপ না হওয়ায় লজেন্স,বিস্কুট সহ অন্যান্ন ব্যবসার প্রসার লাভ করে। অতঃপর ১৬ অক্টোবর ১৯৯৭ সালে সমিতির নাম পরিবর্তন করে “ বেগমবাজার-মৌলভীবাজার বণিক সমিতি” নাম করণ করা হয় এবং সমিতির অফিস ১৯/২৫ বেগমবাজার এ স্থানান্তর হয়। তারপর মৌলভী বাজার সহ আশ পাশের এলাকার ব্যবসায়ীরা সমিতির সদস্য হওয়ার পর দিন দিন সমিতির সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। দ্বিতীয় মেয়াদে কমিটি পরিবর্তন করে আলহাজ্ব দীন মোহাম্মদ সাহেব সভাপতি হাজী মোঃ রফিকুল ইসলাম ভুইয়া সাহেব সিনিঃ সহ-সভাপতি এবং হাজী এম.এ. রাজ্জাক সাহেবকে সাধারণ সম্পাদক করে পুনরায় ২৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। সমিতির প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে অত্র এলাকার প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র ব্যবসায়ী সংগঠণ হলো বেগমবাজার-মৌলভীবাজার বণিক সমিতি।

এ সমিতির কর্মকর্তাবৃন্দ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার ক্ষেত্রে ছিল নিবেদিত প্রান। ২ জুন ২০১১ সালে ৪১০ জন সদস্য নিয়ে সমিতির বহু আকাংক্ষিত নির্বাচন সম্পন্ন হয়। সে নির্বাচনে দীন মোহাম্মদ- রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া রাজ্জাক পরিষদ ২৯ পদের মধ্যে ২৮টি পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। ২০১১ নির্বাচনের অঙ্গীকারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অঙ্গীকার ছিল সমিতির একটি স্থায়ী অফিস করা। অবশেষে আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সকল সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতায় ২০১৪ সালে ৭১নং বেগমবাজারস্ত হোল্ডিং এ ১০০০ বর্গফুট জায়গা সদস্যদের শেয়ারের মাধ্যমে ক্রয় করা হয়। প্রতিটি শেয়ার ৩০,০০০+৫,০০০ সর্বমোট= ৩৫,০০০ টাকা করে ২৭১ জন সদস্য ৬০৭টি শেয়ার ক্রয় করেন। সদস্যদের শেয়ারের মাধ্যমে ক্রয়কৃত জায়গায় ৭ম তলা ভবন নির্মাণ করে ৪র্থ তলায় সমিতির স্থায়ী অফিস করা হয়। পরে শেয়ার হোল্ডারগনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৪র্থ তলা সমিতির অফিস ব্যতীত ৬ষ্ট তলা ভবন বিক্রি করে শেয়ার হোল্ডারদেরকে দ্বিগুন টাকা দেওয়া হয়। সমিতির প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে ব্যবসায়ীদের কল্যাণে নানামূখী কর্মকান্ডের পাশাপাশি প্রতি বছর বার্ষিক ক্যালেন্ডার,বনভোজন, ইফতার মাহফিল এবং ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠান সমিতির উদ্যোগে হয়ে থাকে। দেশের প্রতিটি বন্যা সহ সকল প্রকার দুর্যোগ মূহুর্তে সমিতির তার সাধ্য অনুযায়ী সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সাহায্য প্রদান করে থাকেন। সমিতি অত্র এলাকার যানজট নিরশন এবং ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য দিবা ও নৈশ প্রহরী নিয়োগ করে সেবা প্রদান করে থাকেন। প্রতি বছর সমিতির উদ্যোগে ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট সরকারকারী বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন ট্রেড লাইসেন্স, আয়কর, লেবারকোট সহ বিভিন্ন কার্যক্রমে সহযোগিতা করে থাকেন।

৩ মার্চ ২০২২ সালের নির্বাচনের পূর্বে সমিতির সদস্য ছিল ৮৬০ জন। ট্রেড ইউনিয়নের নিয়ম মোতাবেক বর্তমান কমিটি কর্মকর্তা ১৭ জন। ৩ মার্চ ২০২২ নির্বাচনে সাহিদ আসাদ- রাজেশ পরিষদ ১৭ জন কর্মকর্তার মধ্যে ১৫ জন কর্মকর্তা বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। বর্তমান কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ সাহিদ হোসেন, সিনিঃ সহ-সভাপতি হাজী মোঃ আসাদুজ্জামান (আসাদ), সাধারণ সম্পাদক- হাজী মোহাম্মদ উল্লাহ রাজেশ। সমিতির সদস্য ভুক্ত এলাকাগুলো হলো বেগমবাজার, মৌলভীবাজার, হাফিজ উল্লাহ রোড, আলী হোসেন খাঁন রোড, মকিমকাটারা। এখন সমিতির সদস্য সংখ্যা ১৮৫৩ জন। সমিতির নিজস্ব অফিস ৭১ বেগম বাজার ভবনের ৪র্থ তলায়। ১ জানুয়ারী ২০২২ সালে সমিতির নতুন অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়। সমিতির প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন কাজে উল্লেখযোগ্য আবদান রাখা কর্মকর্তাদের অনেকেই এখন আমাদের মাঝে নেই। কর্মকর্তাগন হলেন হাজী মোঃ সবদর আলী, হাজী মোহাম্মদ আলী, মোঃ ফিরোজ আলম, হাজী মোঃ রফিকুল ইসলাম ভুইয়া, হাজী খাজা নেয়ামত উল্যাহ, মোঃ নজরুল ইসলাম, হাজী মোঃ তাহের, হাজী মোঃ শরীফ উদ্দিন, হাজী মোঃ মাইজুদ্দিন, হাজী আলী আহম্মদ বাবুল, মোঃ নুরুল ইসলাম খাঁন, হাজী মোঃ ফজলুল করিম, আঃ রশিদ (লাটমিয়া)। আমরা কোন দিন তাদেরকে ভূলবো না। বর্তমানে এবং ভবিষতে তাদের অবদান আমাদের মাঝে চিরস্বরণীয় হয়ে থাকবে। আমরা মরহুমদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।